করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার যখন সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে, চলছে কঠোর লকডাউন। ঠিক তখনও কিছু মানুষ কোনো প্রয়োজন ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছেন লকডাউন দেখতে।কোনো কাজ না থাকা সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তায় বের হচ্ছেন, কেউ কেউ খালি সড়কে তুলছেন সেলফি।এমন মানুষদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই এমন মানুষদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যারা বাইরে বের হয়েছেন তাদের অনেকেরই তেমন কোনো কাজ নেই। অতি উৎসাহী মন নিয়ে কেমন চলছে লকডাউন তা দেখতেই তারা বের হয়েছেন।
লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউনের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ জানান, জেলা শহরের সর্বত্র পুলিশের কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে। বাইরে বের হওয়ায় সবাইকেই পুলিশের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে মানুষের মধ্যে অনেকটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। আগামী সাত দিন পুলিশের এই কঠোর আবস্থান থাকবে বলেও জানান তিনি।পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ জানান, জেলা শহরের সর্বত্র পুলিশের কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে। বাইরে বের হওয়ায় সবাইকেই পুলিশের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে মানুষের মধ্যে অনেকটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। আগামী সাত দিন পুলিশের এই কঠোর আবস্থান থাকবে বলেও জানান তিনি।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে জেলার প্রবেশদ্বার লেবুখালী ফেরিঘাট, পায়রাকুঞ্জ, চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এরপরও যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া যারা বাইরে বের হয়েছে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর সাধারণ মানুষকে নিরাপদ রাখতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে।
মার্চের শেষ দিক থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা ভাইরাস এবং স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলায় মোট ১৭২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। যাতে মোট মামলা হয়েছে ১৪০৫টি। এতে ১৪০৪ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ৫২৮৯৪০ টাকা জরিমানা আদায় এবং একজনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
0 Post a Comment: